বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাত ২০২৫ সালে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিম্নে বর্তমান সময়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন্ড তুলে ধরা হলো, যা বিনিয়োগকারী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য সহায়ক হতে পারে:
১. শহরায়ন ও আবাসন চাহিদা বৃদ্ধি
বাংলাদেশে শহরায়নের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটের মতো শহরগুলোতে আবাসনের চাহিদা বেড়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের আবাসন বাজারের মূল্য ২.৮৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যার মধ্যে আবাসিক খাতের অবদান সর্বাধিক ।GLG Assets Ltd
২. সবুজ ও টেকসই নির্মাণের দিকে ঝোঁক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ডেভেলপাররা এখন সবুজ ভবন নির্মাণে মনোযোগ দিচ্ছেন। এতে সৌর প্যানেল, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও শক্তি-সাশ্রয়ী ডিজাইন অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ।The Daily Star
৩. অবকাঠামো উন্নয়ন ও নতুন হাব
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও পূর্বাচল নতুন শহরের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন রিয়েল এস্টেট খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ ও আশুলিয়ার মতো এলাকাগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।amaniholdingsltd.com
. বাণিজ্যিক সম্পত্তির চাহিদা বৃদ্ধি
স্টার্টআপ ও আইটি ফার্মের বৃদ্ধির ফলে গুলশান, বনানী ও মহাখালীর মতো এলাকায় অফিস স্পেসের চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া, মিশ্র-ব্যবহার প্রকল্প, যেমন আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্পেসের সমন্বয়, জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও স্মার্ট হোম
প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ভার্চুয়াল ট্যুর, অনলাইন বুকিং ও স্মার্ট হোম ফিচারসহ রিয়েল এস্টেট খাতে ডিজিটালাইজেশন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ক্রেতাদের জন্য আরও সহজ ও স্বচ্ছ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে ।
৬. মধ্যবিত্তের জন্য চ্যালেঞ্জ
আবাসন খাতে মূল্যবৃদ্ধি ও ঋণের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য ফ্ল্যাট কেনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এটি আবাসন খাতে বিক্রয় কমিয়ে দিচ্ছে এবং বাজারে স্থবিরতা সৃষ্টি করছে ।
৭. বিনিয়োগের সুপারিশ
- উদীয়মান এলাকা: পূর্বাচল, উত্তরা, কেরানীগঞ্জ ও আশুলিয়ার মতো এলাকায় জমি ও অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে।
- সবুজ প্রকল্প: টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ ভবিষ্যতে উচ্চ রিটার্ন দিতে পারে।
- বাণিজ্যিক স্পেস: অফিস স্পেস ও রিটেইল স্পেসে বিনিয়োগের মাধ্যমে নিয়মিত আয় নিশ্চিত করা সম্ভব।