
বর্তমান সময়ে শহরাঞ্চলে ফ্ল্যাট কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত। অনেকেই সঞ্চয় কিংবা লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করেন। তবে ভুল সিদ্ধান্ত কিংবা অসতর্কতা আপনার বিনিয়োগকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। তাই ফ্ল্যাট কেনার আগে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই যাচাই করে নিন:
১. প্রকল্পের আইনগত কাগজপত্র
ফ্ল্যাট কেনার আগে যাচাই করুন ডেভেলপমেন্টের হোল্ডিং নম্বর, রাজউকের অনুমোদন, খতিয়ান, দলিল, নামজারি, ও অন্যান্য বৈধতা আছে কিনা। একজন আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
২. ডেভেলপারের বিশ্বস্ততা
বর্তমানে অনেক নতুন বা অজানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বাজারে এসেছে। আপনার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটির পূর্ববর্তী প্রকল্প, সময়মতো হস্তান্তর, গ্রাহকদের রিভিউ যাচাই করুন।
৩. জায়গার লোকেশন
ফ্ল্যাটের লোকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশপাশে স্কুল, হাসপাতাল, বাজার, ট্রান্সপোর্ট সুবিধা আছে কিনা খেয়াল রাখুন। ভবিষ্যতে বিক্রি বা ভাড়া দেওয়ার সম্ভাবনাও নির্ভর করে লোকেশনের উপর।
৪. নির্মাণের গুণমান
বিল্ডিং নির্মাণে রড, সিমেন্ট, ইটের মান কেমন – তা নিশ্চিত হতে হলে প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করুন। ফ্ল্যাটের ওয়াল, জানালা, বাথরুম, ফিটিংস — সবকিছু খুঁটিয়ে দেখুন।
৫. হস্তান্তরের সময়সীমা ও চুক্তি
প্রকল্প সময়মতো শেষ হবে কিনা তা যাচাই করা জরুরি। চুক্তিপত্র ভালোভাবে পড়ুন। অগ্রিম, কিস্তি, পেমেন্ট শিডিউল, দেরির জরিমানা, মালিকানা হস্তান্তরের সময় এসব স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
৬. বাড়তি খরচ ও হিডেন চার্জ
অনেক সময় ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে ক্রেতারা “হিডেন চার্জ” সম্পর্কে জানেন না। যেমন: রেজিস্ট্রেশন ফি, ইউটিলিটি কানেকশন চার্জ, সার্ভিস চার্জ ইত্যাদি আগে থেকেই জেনে নিন।
উপসংহার
ফ্ল্যাট কেনা জীবনের এক বড় সিদ্ধান্ত। তাই আবেগের চেয়ে বাস্তবতা ও সচেতনতা জরুরি। উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিলে আপনার বিনিয়োগ হবে নিরাপদ, লাভজনক ও নির্ভরযোগ্য।