রিয়েল এস্টেট মানে শুধু একটি জমি বা একটি ফ্ল্যাট না, এটি একটি ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। বাংলাদেশে দিন দিন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে, শহর বাড়ছে, মানুষের বসবাসের চাহিদাও বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রিয়েল এস্টেট খাতটি হয়ে উঠেছে অন্যতম লাভজনক ও নিরাপদ বিনিয়োগ ক্ষেত্র।
কেন রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করবেন
রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর স্থায়িত্ব। শেয়ার মার্কেট বা অন্য বিনিয়োগ ক্ষেত্রের মতো ওঠানামা এখানে ততটা নেই। জমি বা ফ্ল্যাটের দাম সাধারণত সময়ের সাথে বাড়ে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের কাছে জমি থাকলে তা ভবিষ্যতে বড় মুনাফা এনে দিতে পারে।
রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করলে আপনি দুটি উপকার পেতে পারেন – একদিকে নিজের জন্য একটি নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা যায়, অন্যদিকে এটি ভাড়া দিয়ে বা ভবিষ্যতে বিক্রি করে আয় করা যায়।
কোন এলাকায় বিনিয়োগ লাভজনক
বর্তমানে ঢাকার আশেপাশে যেমন পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী কিংবা চট্টগ্রামের হালিশহর, বোয়ালখালী, খুলনার সোনাডাঙ্গা কিংবা সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকাগুলোতে রিয়েল এস্টেটের দাম এখনো তুলনামূলক কম। কিন্তু এসব এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত হচ্ছে, তাই ভবিষ্যতে এখানকার সম্পত্তির দাম অনেক বেড়ে যেতে পারে।
রিয়েল এস্টেট কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
- জমির কাগজপত্র যেমন দলিল, খতিয়ান, পর্চা যাচাই করা জরুরি
- জমির মালিকানা নিয়ে কোনো মামলা বা জটিলতা আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া দরকার
- প্রকল্পটি সরকার অনুমোদিত কি না সেটা দেখা জরুরি
- উন্নয়ন ফি, রেজিস্ট্রেশন খরচ, ট্যাক্স ইত্যাদি সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা রাখা ভালো
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে
রিয়েল এস্টেট এখন শুধু ধনী মানুষের একচেটিয়া জায়গা নয়, বরং মধ্যবিত্তদের হাতেও সহজলভ্য হয়ে উঠছে। সরকার ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন সহজ কিস্তিতে ফ্ল্যাট বা জমি দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এছাড়াও প্রযুক্তির কারণে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে ফ্ল্যাট বা জমি খুঁজে পাওয়া যায়।
উপসংহার
রিয়েল এস্টেট শুধুই একটি সম্পদ নয়, এটি একটি ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। একটু সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিনিয়োগ করলে আপনি পেতে পারেন স্থায়ী নিরাপত্তা এবং দীর্ঘমেয়াদি লাভ।