প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকেই দেশে ফিরে নিজের একটি স্থায়ী ঠিকানা চায়। কেউ কেউ আবার বিনিয়োগ হিসেবেও জমি বা ফ্ল্যাট কিনে রাখেন। তবে দূরে থেকে রিয়েল এস্টেট লেনদেন করাটা সহজ নয়। তাই প্রবাসীদের জন্য জমি বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নির্দেশনা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
কেন প্রবাসীদের জন্য বিশেষ গাইড প্রয়োজন?
প্রবাসীরা সরাসরি উপস্থিত না থেকে সবকিছু দেখভাল করতে পারেন না। অনেক সময় বিশ্বাসযোগ্য লোকের মাধ্যমে কাজ করলেও ভুল বা প্রতারণার শিকার হতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন স্বচ্ছ এবং পরিকল্পিত পদক্ষেপ।
১. যাচাই-বাছাই করুন জমির বা ফ্ল্যাটের বৈধতা
- খতিয়ান, দাগ, মৌজা ও রেকর্ড সঠিক আছে কি না দেখে নিন
- প্রজেক্ট বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই করুন
- প্রয়োজন হলে একটি রিয়েল এস্টেট আইনজীবীর সাহায্য নিন
২. পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি (Power of Attorney)
আপনি দেশের বাইরে থাকলে একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে Power of Attorney দিয়ে নির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব দিতে পারেন। তবে এটি অবশ্যই নোটারাইজড এবং বাংলাদেশ দূতাবাস দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে।
3. ব্যাংকিং ও অর্থ লেনদেন
- ব্যাংক ট্রান্সফার অথবা অফিশিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠান
- জমি বা ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধের রশিদ ও রেকর্ড সংরক্ষণ করুন
- প্রয়োজনে NRB (Non-Resident Bangladeshi) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন
৪. প্রামাণ্য দলিল সংগ্রহ
- দলিল, খতিয়ান, নামজারি, ট্যাক্স রসিদ ইত্যাদি সঠিকভাবে বুঝে নিন
- দলিলে আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর এবং ঠিকানা সঠিকভাবে থাকতে হবে
৫. রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বাছাইয়ের নিয়ম
- বিআরইআরএ (RAJUK/BREDA) অনুমোদিত ডেভেলপার নির্বাচন করুন
- আগের ক্লায়েন্টদের রিভিউ যাচাই করুন
- পেমেন্ট প্ল্যান ও হ্যান্ডওভার টাইম স্পষ্টভাবে জেনে নিন
উপসংহার
প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু লাভজনক সিদ্ধান্ত হতে পারে। নিরাপদ ও সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে হলে যথাযথ তথ্য, যাচাই ও আইনগত সহায়তা অপরিহার্য।
নিজের দেশে একটি স্বপ্নের ঠিকানা গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হোক সঠিক তথ্য দিয়ে শুরু।