পূর্বাচলে প্লট কিনবেন কীভাবে?

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় আবাসিক এলাকা হিসেবে পূর্বাচল এখন সবার নজর কেড়েছে। রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি এই এলাকা, উন্নত সড়ক যোগাযোগ এবং পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্পের কারণে ক্রমেই বেড়ে চলছে জমির চাহিদা। যদি আপনি পূর্বাচলে একটি প্লট কিনতে চান, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। আসুন, জেনে নিই পূর্বাচলে প্লট কেনার জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ:

১. পূর্বাচল এলাকায় প্লটের অবস্থা বুঝে নিন

পূর্বাচল এলাকায় প্লট কিনতে যাওয়ার আগে সেই অঞ্চলের অবস্থা ভালোভাবে যাচাই করুন। অনেক জায়গায় প্লটের সঠিক রেজিস্ট্রেশন এবং বৈধতা নিশ্চিত করা হয় না। তাই প্রথমেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে বা ডেভেলপার থেকে প্লটের বৈধতা যাচাই করা জরুরি।

২. প্লটের খোঁজে যান:

প্লট কেনার আগে প্রথমে খুঁজে দেখুন কোথায় জমি বিক্রি হচ্ছে। আপনি স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্টের মাধ্যমে বা অনলাইনে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট প্ল্যাটফর্মে পূর্বাচল এলাকার প্লটের অফার দেখতে পারেন। এছাড়া, পূর্বাচল প্রকল্পের ডেভেলপারদের সরাসরি যোগাযোগ করেও ভালো সাইট সম্পর্কে জানতে পারেন।

৩. প্লটের মূল্য মূল্যায়ন করুন:

পূর্বাচলে প্লটের দাম প্রতি বর্গফুট বা একর অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, তাই বাজারমূল্য যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিয়েল এস্টেট এজেন্টদের সহায়তায় বর্তমানে ওই এলাকার জমির বাজার মূল্য জানুন। এবং প্লটের মূল্য তুলনা করুন। অত্যন্ত কম দামে জমি কেনার চেষ্টা করুন, তবে খুব কম দাম হলেই সতর্ক থাকুন—কারণ অনেক সময় ফাঁকা বা জালিয়াতির জমি বিক্রি করা হয়।

৪. প্লটের মালিকানা এবং কাগজপত্র যাচাই করুন:

জমি কেনার আগে, তার মালিকানা এবং কাগজপত্র পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। মালিকের নাম, জমির বর্তমান রেজিস্ট্রেশন এবং সম্পত্তির বিবরণ সবকিছু সঠিক কিনা দেখুন। জমি জালিয়াতি এড়ানোর জন্য এ বিষয়ে আইনগত সহায়তা নেওয়া ভালো।

৫. অবকাঠামো ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করুন:

পূর্বাচল এলাকায় কী ধরণের অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে সেটাও জানতে হবে। উঁচু মানের প্রকল্প, সড়ক, পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদি সুবিধা দেখতে হবে। এসব সুবিধা থাকলে ভবিষ্যতে আপনার প্লটের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।

৬. প্লট কেনার পর রেজিস্ট্রেশন ও ডকুমেন্টেশন:

প্লট কেনার পর রেজিস্ট্রেশন কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। সম্পত্তির নামান্তর এবং সঠিকভাবে সরকারী রেজিস্ট্রেশন করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা না হয়। নথিপত্রের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কপি, মালিকানা প্রমাণপত্র, ট্যাক্স রশিদ ইত্যাদি থাকতে হবে।

৭. কিনতে হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নিন:

যখন সব কাগজপত্র, বাজারমূল্য, অবকাঠামো ও উন্নয়ন ব্যবস্থা যাচাই হয়ে যাবে, তখন নিজের বাজেট এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্লট কেনার সিদ্ধান্ত নিন। মনে রাখবেন, পূর্বাচলে প্লট কেনা একটি বড় বিনিয়োগ, তাই সিদ্ধান্ত নেবার আগে ভালোভাবে গবেষণা করা উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home Listings Blog Add Account