
বাংলাদেশে অনেকেই এমন একটি স্থায়ী ঠিকানা চান, যা একদিকে নিরাপদ, অন্যদিকে ভবিষ্যতে লাভজনকও হতে পারে। তবে প্রশ্ন হলো – ফ্ল্যাট কিনবেন, নাকি জমি কিনবেন? এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
ফ্ল্যাট কেনার সুবিধা
ফ্ল্যাট সাধারণত শহরের অভ্যন্তরে বা গুরুত্বপূর্ণ লোকেশনে নির্মাণ হয়। এটি একবার কিনে ফেললেই আপনি দ্রুত বসবাস শুরু করতে পারেন। নির্মাণের ঝামেলা নেই, এবং ভবনের নিরাপত্তা, লিফট, পার্কিং ও অন্যান্য সুবিধা থাকে।
- দ্রুত হস্তান্তরযোগ্য
- নিরাপত্তা ও কমিউনিটি সুবিধা
- ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নত
- শহরের কেন্দ্রীয় লোকেশনে অবস্থান
ফ্ল্যাট কেনার সীমাবদ্ধতা
যেহেতু এটি শেয়ারড প্রপার্টি, তাই ভবনের মেয়াদ, সার্ভিস চার্জ, এবং পুনঃবিক্রয়ের সময় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। ভবিষ্যতে জায়গার মালিকানা পাওয়া যায় না, কেবল ফ্ল্যাটের মালিক হবেন।
- ভবনের আয়ু সীমিত
- সার্ভিস চার্জ দিতে হয়
- মেরামতের জন্য অন্যান্য ফ্ল্যাট মালিকদের উপর নির্ভর করতে হয়
- জমির দখল বা মালিকানা সাধারণত পাওয়া যায় না
জমি কেনার সুবিধা
জমির মূল্য সাধারণত সময়ের সাথে বাড়ে। আপনি নিজের ইচ্ছেমতো বাড়ি তৈরি করতে পারেন। ভবিষ্যতে সন্তানদের জন্য উত্তরাধিকার সম্পদ হিসেবেও জমি বেশি কার্যকর।
- স্বকীয় মালিকানা
- নিজের মতো করে ঘর তৈরি করার সুযোগ
- দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রিটার্ন
- ভবিষ্যতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারযোগ্য
জমি কেনার সীমাবদ্ধতা
জমি কেনার পর নির্মাণ কাজ শুরু করতে হলে প্রচুর সময় ও খরচ প্রয়োজন হয়। এছাড়া শহরের কেন্দ্রে জমি পাওয়া কঠিন এবং দাম অনেক বেশি।
- শহরের ভিতরে খালি জমি পাওয়া কঠিন
- সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল নির্মাণ
- আইনগত জটিলতা হতে পারে
- নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর অভাব থাকতে পারে
কোনটি বেছে নেবেন?
আপনার আর্থিক সামর্থ্য, জীবনযাত্রার ধরণ ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি দ্রুত বাসস্থান দরকার হয় এবং শহরের কেন্দ্রে থাকতে চান, তবে ফ্ল্যাটই উপযুক্ত। আর যদি আপনি ভবিষ্যতের ইনভেস্টমেন্ট, স্বাধীনতা ও কাস্টমাইজেশন চান, তবে জমি ভালো বিকল্প হতে পারে।